যারা সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে পড়ালেখা করেছেন তাদের জন্য ব্যাপার তা অনেক সহজ। এই লেখাটি পরে আপনি বুঝতে পারবেন ডাবের ভিতর পানি কোথা থেকে আসে।
কোষ যে বিভাজিত হয় তা তো সবাই জানেন। এই কোষ বিভাজনকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
১। নিউক্লিয়াসের বিভাজন ( ক্যারিওকাইনেসিস)
২। সাইটোপ্লাজমের বিভাজন ( সাইটোকাইনেসিস)
ডাবের ক্ষেত্রে আসলে হয় কি, ক্যারিওকাইনেসিস চলতে থাকে কিন্তু সাইটোকাইনেসিস হয় না। মানে নিউক্লিয়াস বিভাজিত হয়ে নতুন নিউক্লিয়াস তৈরী হয় ঠিকই কিন্তু কোষের সাইটোপ্লাজমটা বিভাজিত হয় না।
ফলে কি হবে? বহু নিউক্লিয়াস সৃষ্টি হবে। আর একে বলে "মুক্ত নিউক্লিয়ার বিভাজন"।
যেহেতু ডাবের কোষে নিউক্লিয়াস বিভাজিত হতেই থাকে হতেই থাকে সেজন্য বেচারা কোষটা নিউক্লিয়াসকে জায়গা দিতে গিয়ে তার ভেতরে থাকা পানি কে বের করে দেয়। এটাই ডাবের পানি!
আর এ পানিটাই আমরা খুব স্টাইল করে স্ট্র দিয়ে খাই 😎।
মজার না ব্যাপারটা? 😀