২ ধরণের ব্যক্তিগণ কোভিড-১৯ ভাইরাসের বা করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে পারবেন না।
- টিকা নিলে যাদের এলার্জি হয়, তারা করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে বিরত থাকুন। এক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। খুবই ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে টিকা নিলে কয়েক মিনিটের মধ্যে এলার্জিক রিএকশন বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। তাই টিকা নেবার সাথে সাথেই হাসপাতাল ত্যাগ না করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এলার্জিক রিএকশন বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেলে ডাক্তারের শরাণাপন্ন হোন।
- ১৮ বছরের কম বয়সীরা টিকা নিতে বিরত থাকুন। ১৮ বছরের কম বয়সীদের ওপর এই টিকার কোন পরীক্ষা চালানো হয় নি। এজন্য এখনও তাদের ওপর টিকা প্রয়োগ করা হলে কি হয়, তা গবেষকদের জানা নেই।
কারা কোভিড-১৯ ভাইরাসের বা করনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণকালে সতর্কতা অবলম্বন করবেন-
৫ ধরণের ব্যক্তিগণ কোভিড-১৯ ভাইরাসের বা করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণকালে সতর্কতা অবলম্বন করবেন। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
- আপনি যদি গুরুতর অসুস্থ থাকেন, গায়ের জ্বর ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি থাকে কিংবা শরীরে কোন ইনফেশন থাকে, তাহলে সেরে ওঠার পর টিকা গ্রহণ করুন। তবে হালকা সর্দি বা ঠান্ডা হলে টিকা নিতে সমস্যা নেই,
- রক্ত পাতলা করবার কোন ওষুধ সেবন করলে চিকিৎসকের পরামর্শ পূর্বক টিকা গ্রহণ করুন। রক্ত পাতলা হলে টিকা নিলে সমস্যা যেমন- রক্তক্ষরণ হতে পারে। একই ভাবে যদি রক্ত জমাট বাঁধতে সমস্যা হয় এমন অসুখ থাকলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন,
- যদি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাহলে । রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অসুখ (যেমন এইচ আই ভি ইনফেকশন) বা ঔষধ (যেমন ক্যান্সারের ঔষধ ও উচ্চ মাত্রার স্টেরয়েড) সেবনের জন্যও কম হতে পার। এক্ষেত্রে টিকা নিতে সমস্যা নেই, কিন্তু যেহেতু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম সেহেতু ডাক্তার পরামর্শ দিবেন কখন টিকা নেওয়া সবচেয়ে ভালো হবে।
- যারা গর্ভবতী বা যারা বাচ্চা বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন, তারা টিকা নেওয়া থেকে আপাতত বিরত থাকুন।
- যারা অন্য টিকা (যেমন হেপাটাইটিস-বি) নিচ্ছেন তারা সেই টিকা নেবার ২৮ দিন পর করোনা ভাইরাসের টিকা নিন।