সরিষা ফুলের মধু (mustard flower honey) অতি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। অন্যান্য মধুর মত এই মধু ও অনেক গুনে গুনান্বিত (honey benefits)। চলুন, জেনে নেই কিভাবে এই মধু তৈরী হয় (honey making process)।
মধু সংগ্রহের জন্য স্টিল ও কাঠ দিয়ে করা হয় বিশেষ ধরনের বাক্স। যার ওপরের অংশটা মোড়ানো কালো রঙের পলিথিন ও চট দিয়ে। বাক্সের ভেতরে কাঠের তৈরি আটটি ফ্রেমের সঙ্গে মোম দিয়ে বানানো এক ধরনের সিট বিশেষ কায়দায় লাগানো থাকে। পরে বাক্সগুলো সরিষা ক্ষেতের পাশে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়।
পাশাপাশি বাক্সগুলোর ভেতরে দেওয়া হয় রানি মৌমাছি। যাকে ঘিরে আনাগোনা করে হাজারো পুরুষ মৌমাছি। রানির আকর্ষণে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে মৌমাছিরা। একটি রানি মৌমাছির বিপরীতে প্রায় তিন হাজারের মতো পুরুষ মৌমাছি থাকে একেকটি বাক্সে।
মৌমাছিতে টুইটম্বর বাক্সগুলো সরিষা ক্ষেতের লাগোয়া স্থানে সারিবদ্ধভাবে রেখে দেওয়া হয়। এরপর সেই সব বাক্স থেকে সরিষা ক্ষেতের ফুলে ফুলে ভো ভো শব্দ তুলে ঢু মারতে থাকে প্রশিক্ষিত মৌমাছিরা। এভাবে ফুল থেকে মধু ( নেকটার) সংগ্রহ করে চলে আসে বাক্সে।
তারপর ৭/৮ দিন পর পর বাক্স থেকে ফ্রেম গুলো বের করে পরিস্কার করে একটি ড্রামের ভিতর ফ্রেম গুলো লম্বালম্বি বসানো হয়ও এরপর বিশেষ পদ্ধতিতে জোরে ঘুরানো হয়। এই ঘূর্ননের যে বাতাস তৈরী হয়,এর সাহায্যে ফ্রেম থেকে শুধুমাত্র মধু বের হয়ে আসে। বাচ্চা মৌমাছি ও মৌমাছির মল-মুত্র ফ্রেম এর সাথে থেকে যায় ফলে মধু থাকে একদম ফ্রেস।
এই মধুর রঙ হয় সাদা । এই মধু শীতে জমে যায় আবার বেশী ঠান্ডাতে মিছরির মত দানার আকার ধারন করে।